পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু মীরকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু জাফর রিপনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করার অভিযোগে মামলা ও সংঘটিত অপরাধ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী চেয়ারম্যান শিমু মীরকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ২৮ নভেম্বর বিকেলে চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম মিয়ার উপর হামলা চালায় শিমু মীর। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই তার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমু মীরকে।
মামলায় বলা হয়েছে, দশ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় শাহ আলমের বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের অফিসে শিমু মীরের বাহিনীর ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তারপর পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।